পোস্টগুলি

সুন্দরবনের উপর বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আলোচনা করো

ছবি
সুন্দরবনের উপর বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব  ১) সমুদ্র জলতলের উচ্চতা বৃদ্ধি :- বর্তমানে বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে কুমেরু অঞ্চলের এবং সেই সঙ্গে বিভিন্ন পর্বত অধ্যুষিত অঞ্চলের বরফ ব্যপক পরিমানে গেলে যাচ্ছে, যার পরোক্ষ প্রভাব সুন্দরবনের উপরেও পড়েছে।2015 সালের 30 শে মার্চ তারিখে World Bank এর রিপোর্ট অনুযায়ী সুন্দরবন অঞ্চলের সমুদ্র জলতল প্রতি বছর 3-8 মি.মি. করে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এর প্রভাবে সুন্দরবন অঞ্চলের বেশ কিছু দ্বীপ বিশেষতঃ লোহাচড়া, ঘোড়ামারা, নিউমুর ইত্যাদি জলের তলায় তলিয়ে যাচ্ছে। ২) ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বৃদ্ধি:- সমুদ্রজলে উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য সুন্দরবন অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা বেশ বাড়ছে।2009 সালে আইলা ঝড়ে প্রায় 400 কিঃমিঃ এলাকা বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছিল।2021 সালের ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের ফলেও সুন্দরবন অঞ্চলে ব্যাপক পরিমানে ক্ষতি হয়েছে। ৩) ভূমির লবনতা বৃদ্ধি :- সাধারণত সমুদ্রের জলতল বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে সমুদ্রের লবনাক্ত জল সুন্দরবনের আশপাশের কৃষিজমিতে প্রবেশ করেছে এবং এর ফলে জমির লবনতাকে বৃদ্ধি করেছে, সেইসঙ্গে ভূমিকে চাষের অযোগ্য করে তুলেছে। ৪) ম্যানগ্রোভ অরণ্যের বিনাশ :- সাধারণত উপকূলীয় অঞ্চল

শহরের ইতিহাস চর্চার গুরুত্ব আলোচনা করো

ছবি
শহরের ইতিহাসচর্চা কাকে বলে  1960-এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয় 'Urban History' বা 'শহরের ইতিহাসচর্চা' যার মধ্যে দিয়ে কোনো একটি শহর, সেখানকার মানুষ, তাদের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক পটপরিবর্তন -এককথায় সেখানকার সমগ্র জীবনপদ্ধতিরই একটি বিশ্বাসযোগ্য অনুসন্ধানের পুঞ্জীকরণ হয়। আধুনিক ইতিহাস চর্চায় শহরের ইতিহাসের গুরুত্বগুলি হল (1) শহরের ইতিহাস চর্চা থেকে সমকালীন নগরায়ন, আর্থসামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সভ্যতার বিবর্তন সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়। নগর- কেন্দ্রিক প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিবর্তন জানার জন্য শহরের ইতিহাসচর্চা গুরুত্বপূর্ণ। (2) একটি শহর কীভাবে গড়ে উঠল, কেনই বা গড়ে উঠল, কী তার সমস্যা ঐতিহাসিকদের বিশ্লেষণে উঠে আসে সেসব কথা। এর পাশা- পাশি প্রশাসনিক বা সামরিক কারণে বা চূড়ান্ত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে শহরের অবক্ষয় ও বিনাশের বিষয়েও জানা যায়। (3) জাতীয় ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রেও শহরের ইতিহা থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়- কারণ শহরের ইতিহাসে নজরের বাইরে চলে যাওয়া নিম্নবর্গের মানুষজন, তুচ্ছাতিতুচ্ছ ঘটনাসমূহও স্থান পায় যা পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস রচনা ক

আধুনিক ইতিহাসের উপাদান হিসেবে আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথার গুরুত্ব কোথায়

ছবি
আধুনিক ইতিহাসের উপাদানরূপে আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথার গুরুত্ব আধুনিক ভারতের ইতিহাসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত অথবা ঘটনা ঘটে গিয়েছে। সেই ঘটনা গুলিকে কেউ তাদের আত্মজীবনী লেখে গেছেন, আর কেউ স্মৃতিকথা হিসেবে সংরক্ষণ করেছেন। আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা ইতিহাসের উপাদান হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা হলো লেখকের জীবনের সময়ের সাক্ষী। আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথায় লেখকে তার জীবনের অভিজ্ঞান, সংঘটনা, সফলতা, ব্যর্থতা, সংঘর্ষ, প্রেম, বন্ধুত্ব, শিক্ষা, পরিবার, সমাজ, সংস্কৃতি, আদি সম্পর্কিত ঘটনাগুলি সংরক্ষণ করে। আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথার গুরুত্ব আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথার গুরুত্ব অপরিসীম। আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথার মাধ্যমে আমরা অতীতের ঘটনাগুলি জানতে পারি, লেখকের দৃষ্টিভঙ্গী সম্পর্কে ধারণা পেতে পায়, এবং সমসাময়িক জীবনের চিত্র ফুটিয়ে তােলে যার ফলে সে সময়ের রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গী পর্যালোচনা করতে পারি। আমরা স্থানীয় ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রকে প্রসারিত করে। স্থানীয় ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে এই উপাদান সহায়ক ভূমিকা পালন করে এবং জাতীয় ইতিহাসের বহু অনালােচিত, অনালােকিত এবং উপেক্ষিত

ইতিহাসের উপাদান হিসেবে জীবনের ঝরাপাতা গ্রন্থের গুরুত্ব লেখো

ছবি
ইতিহাসের উপাদান হিসেবে জীবনের ঝরাপাতা গ্রন্থের গুরুত্ব সরলাদেবী চৌধুরানী, একজন কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, এবং দেশ প্রেমিকা ছিলেন। তার আত্মজীবনী গ্রন্থ "জীবনের ঝরাপাতা" ইতিহাসের উপাদান হিসেবে আজও অম্লান। 'জীবনের ঝরাপাতা'-য় সরলাদেবী চৌধুরানী ১৮৭২ খ্রি. থেকে ১৯০৫খ্রি. সময়কালের আখ্যানে এক বালিকা থেকে তাঁর বড়ো হয়ে ওঠার জীবনকাহিনী তুলে ধরেছেন। তার আত্মকথায় তাঁর জীবনের বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে যা ইতিহাসের উপাদান হিসেবে গুরুত্তপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জীবনের ঝরাপাতা গ্রন্থের প্রকাশকাল 'জীবনের ঝরাপাতা' প্রথমে সাপ্তাহিক "দেশ" পত্রিকায় ১৯৪৪ – ৪৫ খ্রিঃ ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়। পরে ১৯৭৫ খ্রিঃ আন্তর্জাতিক নারীবর্ষে এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। জীবনের ঝরাপাতা গ্রন্থের বিষয়বস্তু 'জীবনের ঝরাপাতা'- গ্রন্থের বিষয়বস্তু গুলি হল - বৃহৎ জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহলের কথা: তার জন্মবৃত্তান্তের ইতিকথা, ঠাকুরবাড়ির মুক্ত ও কঠোর অনুশাসনের আবহে তাঁর বেড়ে ওঠা ও শিক্ষা লাভের গল্প। কর্মজীবন ও বাইরের জগতে প্রবেশ: তাঁর সংযোগ, "ভারতী" পত্রিকার সম্পাদক রূ

খাদার ও ভাঙ্গার এর মধ্যে পার্থক্য লেখ ?

ছবি
খাদার ও ভাঙ্গার এর মধ্যে পার্থক্য লেখ এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন যা নিয়ে আজ আমরা আলোচনা করবো। মাধ্যমিক ছাত্রছাত্রীরা এই প্রশ্নটি অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্যন করতে পারবে। খাদার ও ভাঙ্গার এর মধ্যে পার্থক্য লেখ এই প্রশ্নটির উত্তর নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। খাদার ও ভাঙ্গারের মধ্যে পার্থক্য খাদার ভাঙ্গার অবস্থান নদীতীরবর্তী নবীন পলিগঠিত অঞ্চল গাঙ্গেয় সমভূমিতে খাদার নামে পরিচিত। গাঙ্গেয় সমভূমির নদী থেকে দূরবর্তী প্রাচীন পলিগঠিত অঞ্চল ভাঙ্গার নামে পরিচিত। প্রকৃতি খাদার হল নতুন পলিগঠিত নিম্নভূমি। ভাঙ্গার হল প্রাচীন পলিগঠিত উচ্চভূমি। গুরুত্ব খাদার উর্বর বলে কৃষিকার্যে খুবই উপযুক্ত। ভাঙ্গার কম উর্বর বলে কৃষিকার্যে তেমন উপযোগী নয়। বন্যাপ্রবণ খাদার নদী তীরবর্তী বলে বন্যাপ্রবণ। ভাঙ্গার নদী দূরবর্তী উচ্চভূমি বন্যাপ্রবণ নয়। খাদার ও ভাঙ্গার এর মধ্যে পার্থক্য লেখ এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোল এর খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন। তাই অবশ্যই বন্ধুদের সাথে সেয়ার করুন যাতে তারাও এই

ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা গুলি কি?

ছবি
ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন যা নিয়ে আজ আমরা আলোচনা করবো। মাধ্যমিক ছাত্রছাত্রীরা এই প্রশ্নটি অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্যন করতে পারবে। ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা এই প্রশ্নটির উত্তর নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। ইন্টারনেট কি সাম্প্রতিক ইতিহাস চর্চা ও গবেষণায় ইন্টারনেটের ব্যবহার ব্যাপকভাবে লক্ষ্য করা যায়। 1989 খ্রিস্টাব্দে টিম বারনারস-লি (Tim Berners-Lee) এর World Wide Web (www.) এর উদ্ভাবনের ফলে বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা শুরু হয়। ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহে ইন্টারনেটের সুবিধা (1) ইন্টারনেটের মাধ্যমে ইতিহাসের যেকোনো তথ্য যেকোন সময়ে হাতের মুঠোয় চলে আসে। (2) ইন্টারনেট তথ্য অনুসন্ধানের কার্যকরী মাধ্যম, বাড়িতে বসেই অতি সহজেই প্রয়োজনীয় ঐতিহাসিক তথ্যাবলীর নাগাল পাওয়া যায়। (3) ইন্টারনেটের মাধ্যমে ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহে অন্যের সাহায্য পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে যাতায়াতের অসুবিধা থাকে না। ই-মেইলের মাধ্যমে তথ্য সহজেই আদান প্রদান সম্ভব হয়। (4) ইন্টারনেটে অনে

ট্রপোস্ফিয়ার কাকে বলে? একে ক্ষুব্ধমন্ডল বলে কেন

ছবি
ট্রপোস্ফিয়ার কাকে বলে? ট্রপোস্ফিয়ারকে ক্ষুব্ধমন্ডল বলে কেন? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন যা নিয়ে আজ আমরা আলোচনা করবো। মাধ্যমিক ছাত্রছাত্রীরা এই প্রশ্নটি অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্যন করতে পারবে। ট্রপোস্ফিয়ার কাকে বলে এই প্রশ্নটির উত্তর নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। ট্রপোস্ফিয়ার কাকে বলে ভূপৃষ্ঠ থেকে বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে কাছের বা সর্বনিম্ন স্তর হল ট্রপোস্ফিয়ার। ভূপৃষ্ঠ থেকে উপরের দিকে মেরু অঞ্চলে প্রায় ৮ কিমি ও নিরক্ষীয় অঞ্চলে প্রায় ১৮ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুস্তরকে ট্রপোস্ফিয়ার (Troposphere) বলে ।  ট্রপোস্ফিয়ার (Troposphere) শব্দটি গ্রীক শব্দ “Tropos” এর অর্থ ‘পরিবর্তন’ ও “Sphere” এর অর্থ ‘মন্ডল’ থেকে এসেছে। ট্রপোস্ফিয়ারকে ক্ষুব্ধমন্ডল বলার কারণ বায়ুমণ্ডলের এই স্তরেই আমরা বসাবস করি । এই স্তরে প্রাণীজগতের বেঁচে থাকার জন্যে প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে। বায়ুমণ্ডলের প্রায় বেশিরভাগই বায়ু প্রায় ৭৫% বায়ু এই অংশে অবস্থান করে এবং প্রায় ৯০ শতাংশ ধূলিকণা, জলীয় বাষ্প, কুয়াশা, মেঘ প্রভৃতি এই স্তরে থাকে ফলে ঝড়, বৃষ্টি, শ